সূরা মুলক এর শানে নুযুল, বাংলা উচ্চারণ, বাংলা অনুবাদ, তাফসীর, সূরা মুলক এর শানে নুযুল অর্থাৎ কেন এবং কী প্রেক্ষাপটে এই সূরা নাযিল হয়েছিল, সে সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোনো হাদিস বা বর্ণনা সুন্নতে পাওয়া যায় না। তবে, সূরার বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ করে এর নুযূলের সম্ভাব্য কারণগুলি অনুমান করা যায়।
সূরা মুলকের বিষয়বস্তু ও এর প্রেক্ষাপট
সূরা মুলক মূলত আল্লাহর অসীম ক্ষমতা, মহাবিশ্বের সৃষ্টি, মৃত্যু ও পরকালের বিষয়ে আলোকপাত করে। সূরার মূল কেন্দ্রবিন্দু হলো আল্লাহর রাজত্ব ও তাঁরই সবকিছুর মালিকানা। সূরাটি মানুষকে তাঁর সৃষ্টিকর্তার প্রতি ভয়ভীতি ও শ্রদ্ধাশীল হতে উৎসাহিত করে।
- আল্লাহর ক্ষমতা: সূরাটি আল্লাহর অসীম ক্ষমতা ও মহাবিশ্বের সৃষ্টির বিস্ময়কর নিদর্শনগুলো তুলে ধরে। এটি মানুষকে তাঁর সৃষ্টিকর্তার প্রতি ভয়ভীতি ও শ্রদ্ধাশীল হতে উৎসাহিত করে।
- মৃত্যু ও পরকাল: সূরাটি মৃত্যু ও পরকালের অবধারিত সত্যের দিকে ইঙ্গিত করে। এটি মানুষকে আখিরাতের প্রস্তুতি নিতে এবং পাপাচার থেকে বিরত থাকতে অনুপ্রাণিত করে।
- আল্লাহর রাজত্ব: সূরাটি আল্লাহর একমাত্র সত্য মালিক হওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট করে। এটি মানুষকে আল্লাহর আনুগত্য করতে এবং শিরক থেকে দূরে থাকতে উৎসাহিত করে।
সম্ভাব্য নুযূলের কারণ:
- মক্কায় অবিশ্বাসীদের দাবির জবাব: মক্কায় যখন কাফিররা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দাওয়াতকে মিথ্যা প্রমাণ করার চেষ্টা করত, তখন এই সূরা নাযিল হয়ে তাদের দাবির জবাব দিয়েছে।
- মুমিনদের বিশ্বাস সুদৃঢ় করা: মক্কায় মুসলিমদের উপর যে নির্যাতন চলছিল, সে সময় এই সূরা নাযিল হয়ে তাদের বিশ্বাসকে আরও সুদৃঢ় করেছে।
- আল্লাহর রাজত্ব ও একত্ববাদ সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া: এই সূরা মানুষকে আল্লাহর রাজত্ব ও একত্ববাদ সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে নাযিল হয়েছে।
সূরা মুলক কুরআনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সূরা। এই সূরাটি মূলত আল্লাহর অসীম ক্ষমতা, মহাবিশ্বের সৃষ্টি, মৃত্যু ও পরকালের বিষয়ে আলোকপাত করে। সূরার মূল কেন্দ্রবিন্দু হলো আল্লাহর রাজত্ব ও তাঁরই সবকিছুর মালিকানা।
সূরা মুলকের মূল বিষয়বস্তু
- আল্লাহর রাজত্ব: সূরাটি স্পষ্টভাবে বর্ণনা করে যে, আল্লাহই সকল জিনিসের মালিক এবং তাঁরই রাজত্ব স্থায়ী।
- মহাবিশ্বের সৃষ্টি: সূরাটি মহাবিশ্বের সৃষ্টির বিস্ময়কর নিদর্শনগুলো তুলে ধরে এবং মানুষকে তাঁর সৃষ্টিকর্তার প্রতি ভয়ভীতি ও শ্রদ্ধাশীল হতে উৎসাহিত করে।
- মৃত্যু ও পরকাল: সূরাটি মৃত্যু ও পরকালের অবধারিত সত্যের দিকে ইঙ্গিত করে। এটি মানুষকে আখিরাতের প্রস্তুতি নিতে এবং পাপাচার থেকে বিরত থাকতে অনুপ্রাণিত করে।
- আল্লাহর ক্ষমতা: সূরাটি আল্লাহর অসীম ক্ষমতা ও তাঁর ইচ্ছায় সবকিছুর পরিবর্তন হওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট করে।
সূরা মুলকের ফজিলত
- হাদিসে বর্ণিত ফজিলত: অনেক হাদিসে সূরা মুলক পড়ার ফজিলত উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে যে, এই সূরা পড়া ব্যক্তিকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করবে এবং তাকে জান্নাতে প্রবেশ করতে সাহায্য করবে।
- সুরক্ষার কবচ: সূরা মুলককে প্রায়শই একটি সুরক্ষার কবচ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এটি শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে রক্ষা করে এবং মানুষকে আল্লাহর পথে স্থির রাখে।
সূরা মুলকের তাফসীরের কিছু উদাহরণ
- আয়াত ১: “তাবারাকা আল্লাজি বি ইয়াদিহিল মুলক” – অর্থাৎ, “পবিত্র সেই আল্লাহ, যার হাতে সমস্ত ক্ষমতা রয়েছে।” এই আয়াতে আল্লাহর অসীম ক্ষমতার কথা বলা হয়েছে।
- আয়াত ৫: “আলাইহিম দাখিলুনা আল্জাহান্নাম” – অর্থাৎ, “আমরা তাদেরকে জাহান্নামে প্রবেশ করাবো।” এই আয়াতে কাফিরদের শাস্তির কথা বলা হয়েছে।
- আয়াত ১৫: “ওয়ালা তাকুন্ কা আল্লাহি খা’ইনিন” – অর্থাৎ, “আর তোমরা আল্লাহর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করো না।” এই আয়াতে আল্লাহর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করার ফলের কথা বলা হয়েছে।
সূরা মুলক পড়ার উপকারিতা
- ইমান বৃদ্ধি: সূরা মুলক নিয়মিত পড়লে ইমান বৃদ্ধি পায় এবং আল্লাহর প্রতি ভয়ভীতি বাড়ে।
- শান্তি ও স্বস্তি: সূরা মুলক পড়লে মানসিক শান্তি ও স্বস্তি পাওয়া যায়।
- রোগ-বাধা থেকে মুক্তি: অনেকের বিশ্বাস, সূরা মুলক পড়লে বিভিন্ন রোগ-বাধা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
সূরা মুলকের বিভিন্ন আয়াতের তাফসীর
আয়াত ১: “তাবারাকা আল্লাজি বি ইয়াদিহিল মুলক” – অর্থাৎ, “পবিত্র সেই আল্লাহ, যার হাতে সমস্ত ক্ষমতা রয়েছে।”
- তাফসীর: এই আয়াতে আল্লাহর অসীম ক্ষমতার কথা বলা হয়েছে। তিনিই সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা এবং তাঁর ইচ্ছায় সবকিছু পরিবর্তন হয়।
আয়াত ৫: “আলাইহিম দাখিলুনা আল্জাহান্নাম” – অর্থাৎ, “আমরা তাদেরকে জাহান্নামে প্রবেশ করাবো।”
- তাফসীর: এই আয়াতে কাফিরদের শাস্তির কথা বলা হয়েছে। যারা আল্লাহকে অস্বীকার করে এবং তাঁর রাসূলকে মিথ্যা বলে, তাদের জন্য জাহান্নামের শাস্তি নির্ধারিত রয়েছে।
আয়াত ৭: “ওয়ালা তাকুন্ কা আল্লাহি খা’ইনিন” – অর্থাৎ, “আর তোমরা আল্লাহর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করো না।”
- তাফসীর: এই আয়াতে আল্লাহর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করার ফলের কথা বলা হয়েছে। যারা আল্লাহর আদেশ অমান্য করে এবং শিরক করে, তারা আল্লাহর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে।
আয়াত ১৫: “ওয়ালা তাকুন্ কা আল্লাহি খা’ইনিন” – অর্থাৎ, “আর তোমরা আল্লাহর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করো না।”
- তাফসীর: এই আয়াতে আল্লাহর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করার ফলের কথা বলা হয়েছে। যারা আল্লাহর আদেশ অমান্য করে এবং শিরক করে, তারা আল্লাহর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে।
আয়াত ১৬: “ইন্নাল্লাহা জালিলুন কারিমুন” – অর্থাৎ, “নিশ্চয়ই আল্লাহ মহান এবং পরোপকারী।”
- তাফসীর: এই আয়াতে আল্লাহর মহানতা ও পরোপকারিতার কথা বলা হয়েছে। তিনি সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা এবং তিনিই মানুষকে সঠিক পথ দেখান।
আয়াত ১৮: “ওয়ালা তাকুন্ কা আল্লাহি খা’ইনিন” – অর্থাৎ, “আর তোমরা আল্লাহর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করো না।”
- তাফসীর: এই আয়াতে আল্লাহর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করার ফলের কথা বলা হয়েছে। যারা আল্লাহর আদেশ অমান্য করে এবং শিরক করে, তারা আল্লাহর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে।
আয়াত ১৯: “ইন্নাল্লাহা জালিলুন কারিমুন” – অর্থাৎ, “নিশ্চয়ই আল্লাহ মহান এবং পরোপকারী।”
- তাফসীর: এই আয়াতে আল্লাহর মহানতা ও পরোপকারিতার কথা বলা হয়েছে। তিনি সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা এবং তিনিই মানুষকে সঠিক পথ দেখান।
আয়াত ২০: “ওয়ালা তাকুন্ কা আল্লাহি খা’ইনিন” – অর্থাৎ, “আর তোমরা আল্লাহর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করো না।”
- তাফসীর: এই আয়াতে আল্লাহর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করার ফলের কথা বলা হয়েছে। যারা আল্লাহর আদেশ অমান্য করে এবং শিরক করে, তারা আল্লাহর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে।
আয়াত ২১: “ইন্নাল্লাহা জালিলুন কারিমুন” – অর্থাৎ, “নিশ্চয়ই আল্লাহ মহান এবং পরোপকারী।”
- তাফসীর: এই আয়াতে আল্লাহর মহানতা ও পরোপকারিতার কথা বলা হয়েছে। তিনি সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা এবং তিনিই মানুষকে সঠিক পথ দেখান।
আয়াত ২২: “ওয়ালা তাকুন্ কা আল্লাহি খা’ইনিন” – অর্থাৎ, “আর তোমরা আল্লাহর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করো না।”
- তাফসীর: এই আয়াতে আল্লাহর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করার ফলের কথা বলা হয়েছে। যারা আল্লাহর আদেশ অমান্য করে এবং শিরক করে, তারা আল্লাহর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে।
আয়াত ২৩: “ইন্নাল্লাহা জালিলুন কারিমুন” – অর্থাৎ, “নিশ্চয়ই আল্লাহ মহান এবং পরোপকারী।”
- তাফসীর: এই আয়াতে আল্লাহর মহানতা ও পরোপকারিতার কথা বলা হয়েছে। তিনি সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা এবং তিনিই মানুষকে সঠিক পথ দেখান।
সূরা মুলক সম্পর্কিত হাদিস
সূরা মুলক কুরআনুল কারিমের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ সূরা। এই সূরাটির তিলাওয়াতের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস শরীফে বিভিন্ন বর্ণনা এসেছে। নবী করীম (সাঃ) নিজেও এই সূরাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে তিলাওয়াত করতেন এবং সাহাবীদেরকেও এর তিলাওয়াতের জন্য উৎসাহিত করতেন।
সূরা মুলকের ফজিলত সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ হাদিস:
- কবরের আযাব থেকে মুক্তি: অনেক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, সূরা মুলক নিয়মিত তিলাওয়াত করা ব্যক্তি কবরের আযাব থেকে মুক্তি পাবে। এই সূরা কবরের আযাব থেকে রক্ষাকারী একটি কবরের সুরা হিসেবে পরিচিত।
- আল্লাহর ক্ষমা: সূরা মুলক তার তিলাওয়াতকারীকে আল্লাহর ক্ষমা ও জান্নাত লাভের মাধ্যম হতে পারে। এই সূরা আল্লাহর কাছে তার আমলকারীর জন্য সুপারিশ করবে।
- কেয়ামতের দিন সুপারিশ: হাদিসে এসেছে, কেয়ামতের দিন এই সূরা তার পাঠকারীর পক্ষে কথা বলে তাকে জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করবে।
- সকল উম্মতের জন্য কাম্য: নবীজি (সাঃ) বলেছেন, “আমার একান্ত কামনা যে, এই সূরাটি আমার প্রত্যেক উম্মতের অন্তরে গেঁথে (মুখস্ত) থাকুক।”
- রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে তিলাওয়াত: নবীজি (সাঃ) সূরা মুলক তিলাওয়াত না করে রাতে ঘুমাতে যেতেন না।
- পরিবারকে শিক্ষা দেওয়া: হজরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, “তোমরা সূরা মুলক শিখে নাও এবং নিজেদের স্ত্রী-সন্তানদের শেখাও। এটা কবরের আযাব হতে রক্ষা করবে এবং কেয়ামতের দিন আল্লাহর দরবারে এই সূরা পাঠকারীর পক্ষে কথা বলে তাকে মুক্ত করবে।”
সূরা মুলক তিলাওয়াতের আরো কিছু ফজিলত:
- সুরাটি মুখস্ত করা: সূরাটি মুখস্ত করে নিয়মিত তিলাওয়াত করলে এর ফজিলত আরও বৃদ্ধি পায়।
- অর্থ বুঝে তিলাওয়াত: সূরাটির অর্থ বুঝে তিলাওয়াত করলে তার প্রতি বিশ্বাস আরও দৃঢ় হয় এবং তা থেকে আরও বেশি উপকার পাওয়া যায়।
- নিয়মিত তিলাওয়াত: সূরাটি নিয়মিত তিলাওয়াত করলে এর ফজিলত অর্জন করা সহজ হয়।
সূরা মুলক সম্পর্কিত হাদিস
সূরা মুলক কুরআনুল কারিমের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ সূরা। এই সূরাটির তিলাওয়াতের ফজিলত সম্পর্কিত হাদিস শরীফে বিভিন্ন বর্ণনা এসেছে। নবী করীম (সাঃ) নিজেও এই সূরাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে তিলাওয়াত করতেন এবং সাহাবীদেরকেও এর তিলাওয়াতের জন্য উৎসাহিত করতেন।
সূরা মুলকের ফজিলত সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ হাদিস:
- কবরের আযাব থেকে মুক্তি: অনেক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, সূরা মুলক নিয়মিত তিলাওয়াত করা ব্যক্তি কবরের আযাব থেকে মুক্তি পাবে। এই সূরা কবরের আযাব থেকে রক্ষাকারী একটি কবরের সুরা হিসেবে পরিচিত।
- আল্লাহর ক্ষমা: সূরা মুলক তার তিলাওয়াতকারীকে আল্লাহর ক্ষমা ও জান্নাত লাভের মাধ্যম হতে পারে। এই সূরা আল্লাহর কাছে তার আমলকারীর জন্য সুপারিশ করবে।
- কেয়ামতের দিন সুপারিশ: হাদিসে এসেছে, কেয়ামতের দিন এই সূরা তার পাঠকারীর পক্ষে কথা বলে তাকে জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করবে।
- সকল উম্মতের জন্য কাম্য: নবীজি (সাঃ) বলেছেন, “আমার একান্ত কামনা যে, এই সূরাটি আমার প্রত্যেক উম্মতের অন্তরে গেঁথে (মুখস্ত) থাকুক।”
- রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে তিলাওয়াত: নবীজি (সাঃ) সূরা মুলক তিলাওয়াত না করে রাতে ঘুমাতে যেতেন না।
- পরিবারকে শিক্ষা দেওয়া: হজরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, “তোমরা সূরা মুলক শিখে নাও এবং নিজেদের স্ত্রী-সন্তানদের শেখাও। এটা কবরের আযাব হতে রক্ষা করবে এবং কেয়ামতের দিন আল্লাহর দরবারে এই সূরা পাঠকারীর পক্ষে কথা বলে তাকে মুক্ত করবে।”
সূরা মুলক তিলাওয়াতের আরো কিছু ফজিলত:
- সুরাটি মুখস্ত করা: সূরাটি মুখস্ত করে নিয়মিত তিলাওয়াত করলে এর ফজিলত আরও বৃদ্ধি পায়।
- অর্থ বুঝে তিলাওয়াত: সূরাটির অর্থ বুঝে তিলাওয়াত করলে তার প্রতি বিশ্বাস আরও দৃঢ় হয় এবং তা থেকে আরও বেশি উপকার পাওয়া যায়।
- নিয়মিত তিলাওয়াত: সূরাটি নিয়মিত তিলাওয়াত করলে এর ফজিলত অর্জন করা সহজ হয়।
সুরা মূলক বাংলা উচ্চারণ
(বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম)
(১) তাবা-রাকাল্লাজি বিয়াদিহিল মূলকু ওয়া হুওয়া ‘আলা- কুল্লি শাইয়িন কাদির।
(২) আল্লাজি খালাকাল মাওতা ওয়াল হায়া-তা লিইয়াবলুওয়াকুম আইয়ুকুম আহছানু‘ আমালাওঁ ওয়া হুওয়াল ‘আজিজুল গাফুর।
(৩) আল্লাজি খালাকা ছাব‘আ ছামা-ওয়া-তিন তিবা-কান মা- তারা- ফি খালকির রাহমা-নি মিন তাফা-উত ফারজি‘ইল বাসারা হাল তারা- মিন ফুতুর।
(৪) ছুম্মার জি’ইলবাসারা কাররাতাইনি ইয়ানকালিব ইলাইকাল বাসারু খা-ছিআওঁ ওয়া হুওয়া হাসির।
(৫) ওয়া লাকাদ জাইয়ান্নাছ সামাআদ্দুনইয়া- বিমাসা-বিহা ওয়াযা’আলনা- হা- রুজুমাল লিশশায়াতিনি ওয়া আ’তাদনা- লাহুম ‘আযা- বাছছা’ঈর।
(৬) ওয়া লিল্লাজিনা কাফারুবিরাব্বিহিম ‘আযা- বুযাহান্নামা ওয়াবি’ছাল মাসির।
(৭) ইজাউলকুফিহা- ছামি’উ লাহা- শাহিকাওঁ ওয়াহিয়া তাফুর।
(৮) তাকা- দুতামাইয়াজুমিনাল গাইজি কুল্লামাউলকিয়া ফিহা- ফাওজুন ছাআলাহুম খাজানাতুহাআলাম ইয়া’তিকুম নাজির।
(৯) কা- লুবালা- কাদ যাআনা- নাজিরুন ফাকাজযাবনা- ওয়া কুলনা- মানাজযালাল্লা- হু মিন শাইয়িন ইন আনতুম ইল্লা- ফি দালা- লিন কাবির।
(১০) ওয়া কা-লুলাও কুন্না- নাছমা’উ আও না’কিলুমা- কুন্না-ফিআসহা-বিছছা’ঈর।
(১১) ফা’তারাফুবিজামবিহিম ফাছুহক্বললিআসহা-বিছ ছা’ঈর।
(১২) ইন্নাল্লাজিনা ইয়াখশাওনা রাব্বাহুম বিলগাইবি লাহুম মাগফিরাতুওঁ ওয়া আজরুন কাবির।
(১৩) ওয়া আছিররুকাওলাকুম আবিজহারুবিহি ইন্নাহু’আলিমুম বিজা- তিসসুদু র।
(১৪) আলা- ইয়া’লামুমান খালাকা ওয়া হুওয়াল্লাতিফুল খাবির।
(১৫) হুওয়াল্লাজি যা’আলা লাকুমুল আরদা যালুলান ফামশুফি মানা-কিবিহা- ওয়া কুলুমির রিজকিহি ওয়া ইলাইহিন নুশুর।
(১৬) আ আমিনতুম মান ফিছছামাই আইঁ ইয়াখছিফা বিকুমুল আরদা ফাইযা- হিয়া তামুর।
(১৭) আম আমিনতুম মান ফিছছামাই আইঁ ইউরছিলা ‘আলাইকুম হা-সিবান ফাছাতা’লামুনা কাইফা নাজির।
(১৮) ওয়া লাকাদ কাজযাবাল্লাজিনা মিন কাবলিহিম ফাকাইফা কা- না নাকির।
(১৯) আওয়ালাম ইয়ারাও ইলাত্তাইরি ফাওকাহুম সাফফা-তিওঁ ওয়াইয়াকবিদন । মাইউমছিকুহুন্না ইল্লাররাহমা-নু ইন্নাহুবিকুল্লি শাইয়িম বাসির।
(২০) আম্মান হা-যাল্লাজি হুওয়া জুনদুল্লাকুম ইয়ানসুরুকুম মিন দু নিররাহমা-নি ইনিল কাফিরুনা ইল্লা- ফি গুরুর।
(২১) আম্মান হা- যাল্লাজি ইয়ারজকুকুম ইন আমছাকা রিজকাহু বাল্লাজজুফি ‘উতুওবিওয়া নুফুর।
(২২) আফামাইঁ ইয়ামশি মুকিব্বান ‘আলা- ওয়াজহিহি আহদা আম্মাইঁ ইয়ামশি ছাবি ইয়ান ‘আলা-সিরা-তিমমুছতাকিম।
(২৩) কুল হুওয়াল্লাজিআনশাআকুম ওয়া যা‘আলা লাকুমুছছাম‘আ ওয়াল আবসা-রা ওয়াল আফইদাতা কালিলাম মা-তাশকুরুন।
(২৪) কুল হুওয়াল্লাজি যারাআকুম ফিল আরদিওয়া ইলাইহি তুহশারুন।
(২৫) ওয়া ইয়াকুলুনা মাতা-হা-যাল ওয়া’দুইন কুনতুম সা-দিকিন।
(২৬) কুল ইন্নামাল ‘ইলমু’ইনদাল্লা- হি ওয়া ইন্নামাআনা নাজিরুম মুবিন।
(২৭) ফালাম্মা-রাআওহু ঝুলফাতান সিআত ঊজুহুল্লাজিনা কাফারুওয়া কিলা হা-যাল্লাজি কুনতুম বিহি তাদ্দা’ঊন।
(২৮) কুল আরাআইতুম ইন আহলাকানিয়াল্লা-হু ওয়া মাম্মা‘ইয়া আও রাহিমানা- ফামাইঁ ইউজিরুল কা-ফিরিনা মিন ‘আযা-বিন আলিম।
(২৯) কুল হুওয়াররাহমা-নুআ-মান্না-বিহি ওয়া’আলাইহি তাওয়াক্কালনা-, ফাছাতা’লামুনা মান হুওয়া ফি দালা-লিম মুবিন।
(৩০) কুল আরাআইতুম ইন আসবাহা মাউকুম গাওরান ফামাইঁ ইয়া’তিকুম বিমাইম মা’ঈন।
সুরা মুলক আরবি
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
الَّذِي خَلَقَ الْمَوْتَ وَالْحَيَاةَ لِيَبْلُوَكُمْ أَيُّكُمْ أَحْسَنُ عَمَلًا وَهُوَ الْعَزِيزُ الْغَفُورُ
الَّذِي خَلَقَ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ طِبَاقًا مَا تَرَى فِي خَلْقِ الرَّحْمَنِ مِنْ تَفَاوُتٍ فَارْجِعِ الْبَصَرَ هَلْ تَرَى مِنْ فُطُورٍ
ثُمَّ ارْجِعِ الْبَصَرَ كَرَّتَيْنِ يَنْقَلِبْ إِلَيْكَ الْبَصَرُ خَاسِئًا وَهُوَ حَسِيرٌ
وَلَقَدْ زَيَّنَّا السَّمَاءَ الدُّنْيَا بِمَصَابِيحَ وَجَعَلْنَاهَا رُجُومًا لِلشَّيَاطِينِ وَأَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابَ السَّعِيرِ
وَلِلَّذِينَ كَفَرُوا بِرَبِّهِمْ عَذَابُ جَهَنَّمَ وَبِئْسَ الْمَصِيرُ
إِذَا أُلْقُوا فِيهَا سَمِعُوا لَهَا شَهِيقًا وَهِيَ تَفُورُ
تَكَادُ تَمَيَّزُ مِنَ الْغَيْظِ كُلَّمَا أُلْقِيَ فِيهَا فَوْجٌ سَأَلَهُمْ خَزَنَتُهَا أَلَمْ يَأْتِكُمْ نَذِيرٌ
قَالُوا بَلَى قَدْ جَاءَنَا نَذِيرٌ فَكَذَّبْنَا وَقُلْنَا مَا نَزَّلَ اللَّهُ مِنْ شَيْءٍ إِنْ أَنْتُمْ إِلَّا فِي ضَلَالٍ كَبِيرٍ
وَقَالُوا لَوْ كُنَّا نَسْمَعُ أَوْ نَعْقِلُ مَا كُنَّا فِي أَصْحَابِ السَّعِيرِ
فَاعْتَرَفُوا بِذَنْبِهِمْ فَسُحْقًا لِأَصْحَابِ السَّعِيرِ
إِنَّ الَّذِينَ يَخْشَوْنَ رَبَّهُمْ بِالْغَيْبِ لَهُمْ مَغْفِرَةٌ وَأَجْرٌ كَبِيرٌ
وَرُّوا قَوْلَكُمْ أَوِ اجْهَرُوا بِهِ إِنَّهُ عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُورِ
أَلَا يَعْلَمُ مَنْ خَلَقَ وَهُوَ اللَّطِيفُ الْخَبِيرُ
هُوَ الَّذِي جَعَلَ لَكُمُ الْأَرْضَ ذَلُولًا فَامْشُوا فِي مَنَاكِبِهَا وَكُلُوا مِنْ رِزْقِهِ وَإِلَيْهِ النُّشُورُ
أَأَمِنْتُمْ مَنْ فِي السَّمَاءِ أَنْ يَخْسِفَ بِكُمُ الْأَرْضَ فَإِذَا هِيَ تَمُورُ
أَمْ أَمِنْتُمْ مَنْ فِي السَّمَاءِ أَنْ يُرْسِلَ عَلَيْكُمْ حَاصِبًا فَسَتَعْلَمُونَ كَيْفَ نَذِيرِ
وَلَقَدْ كَذَّبَ الَّذِينَ مِنْ قَبْلِهِمْ فَكَيْفَ كَانَ نَكِيرِ
أَوَلَمْ يَرَوْا إِلَى الطَّيْرِ فَوْقَهُمْ صَافَّاتٍ وَيَقْبِضْنَ مَا يُمْسِكُهُنَّ إِلَّا الرَّحْمَنُ إِنَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ بَصِيرٌ
أَمَّنْ هَذَا الَّذِي هُوَ جُنْدٌ لَكُمْ يَنْصُرُكُمْ مِنْ دُونِ الرَّحْمَنِ إِنِ الْكَافِرُونَ إِلَّا فِي غُرُورٍ
أَمَّنْ هَذَا الَّذِي يَرْزُقُكُمْ إِنْ أَمْسَكَ رِزْقَهُ بَلْ لَجُّوا فِي عُتُوٍّ وَنُفُورٍ
أَفَمَنْ يَمْشِي مُكِبًّا عَلَى وَجْهِهِ أَهْدَى أَمَّنْ يَمْشِي سَوِيًّا عَلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ
قُلْ هُوَ الَّذِي أَنْشَأَكُمْ وَجَعَلَ لَكُمُ السَّمْعَ وَالْأَبْصَارَ وَالْأَفْئِدَةَ قَلِيلًا مَا تَشْكُرُونَ
قُلْ هُوَ الَّذِي ذَرَأَكُمْ فِي الْأَرْضِ وَإِلَيْهِ تُحْشَرُونَ
وَيَقُولُونَ مَتَى هَذَا الْوَعْدُ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ
قُلْ إِنَّمَا الْعِلْمُ عِنْدَ اللَّهِ وَإِنَّمَا أَنَا نَذِيرٌ مُبِينٌ
فَلَمَّا رَأَوْهُ زُلْفَةً سِيئَتْ وُجُوهُ الَّذِينَ كَفَرُوا وَقِيلَ هَذَا الَّذِي كُنْتُمْ بِهِ تَدَّعُونَ
قُلْ أَرَأَيْتُمْ إِنْ أَهْلَكَنِيَ اللَّهُ وَمَنْ مَعِيَ أَوْ رَحِمَنَا فَمَنْ يُجِيرُ الْكَافِرِينَ مِنْ عَذَابٍ أَلِيمٍ
قُلْ هُوَ الرَّحْمَنُ آمَنَّا بِهِ وَعَلَيْهِ تَوَكَّلْنَا فَسَتَعْلَمُونَ مَنْ هُوَ فِي ضَلَالٍ مُبِينٍ
قُلْ أَرَأَيْتُمْ إِنْ أَصْبَحَ مَاؤُكُمْ غَوْرًا فَمَنْ يَأْتِيكُمْ بِمَاءٍ مَعِينٍ
সুরা মুলক বাংলা অনুবাদ ~ সূরা আল-মুলক (সূরা 67)
১. تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ
অর্থ: মহিমান্বিত সেই আল্লাহ, যাঁর হাতে রাজত্ব।
২. وَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
অর্থ: এবং তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাশালী।
৩. الَّذِي خَلَقَ الْمَوْتَ وَالْحَيَاةَ
অর্থ: তিনি যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন।
৪. لِيَبْلُوَكُمْ أَيُّكُمْ أَحْسَنُ عَمَلًا
অর্থ: যাতে তিনি তোমাদেরকে পরীক্ষা করেন, তোমাদের মধ্যে কে ভালো কাজ করে।
৫. وَالَّذِي خَلَقَ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ طِبَاقًا
অর্থ: এবং যিনি সাতটি আসমান সৃষ্টি করেছেন স্তরে স্তরে।
৬. مَا تَرَىٰ فِي خَلْقِ الرَّحْمَـٰنِ مِنْ تَفَاوُتٍ
অর্থ: তুমি রাহমানের সৃষ্টি में কোনও অমিল দেখতে পাও না।
৭. فَارْجِعِ الْبَصَرَ هَلْ تَرىٰ مِنْ فُطورٍ
অর্থ: তাই চোখ ফিরিয়ে দেখো, কি কোনও ফাটল দেখতে পাও?
৮. ثُمَّ ارْجِعِ الْبَصَرَ كَرَّتَيْنِ
অর্থ: তারপর দুইবার চোখ ফিরিয়ে দেখো।
৯. يَنْقَلِبْ إِلَيْكَ الْبَصَرُ خَاسِئًا وَهُوَ حَسِيرٌ
অর্থ: তোমার চোখ হতাশ হয়ে ফিরে আসবে, আর তা ক্লান্ত হবে।
১০. وَلَقَدْ زَيَّنَّا السَّمَاءَ الدُّنْيَا بِمَصَابِيحَ
অর্থ: আমরা এ দুনিয়ার আকাশকে তারাদের মাধ্যমে শোভিত করেছি।
১১. وَجَعَلْنَاهَا رُجُومًا لِلشَّيَاطِينِ
অর্থ: এবং আমরা তা শয়তানের জন্য পাথর হিসাবে ব্যবহার করেছি।
১২. وَلَهُمْ عَذَابٌ وَاسِعٌ
অর্থ: এবং তাদের জন্য বিস্তৃত শাস্তি রয়েছে।
১৩. وَالَّذِينَ كَفَرُوا بِرَبِّهِمْ
অর্থ: যারা তাদের পালনকর্তাকে অস্বীকার করেছে।
১৪. لَهُمْ عَذَابٌ جَهَنَّمَ
অর্থ: তাদের জন্য জাহান্নামের শাস্তি রয়েছে।
১৫. أَإِذَا قُرِئَ عَلَيْهِمْ قَالُوا: “أَكَذَّبُوا؟”
অর্থ: যখন তাদের কাছে কোরআন পাঠ করা হয়, তারা বলে: “এটি কি মিথ্যা?”
১৬. أَمْ أَمِنْتُمْ مَنْ فِي السَّمَاءِ أَنْ يَخْسِفَ بِكُمُ الْأَرْضَ
অর্থ: অথবা কি তোমরা নিরাপদ যে, আসমানে আছেন তিনি তোমাদেরকে মাটির মধ্যে তলিয়ে দেবেন?
১৭. أَمْ أَمِنْتُمْ مَنْ فِي السَّمَاءِ أَنْ يُرْسِلَ عَلَيْكُمْ حَاصِبًا
অর্থ: অথবা কি তোমরা নিরাপদ যে, আসমানে আছেন তিনি তোমাদের উপর পাথরের বৃষ্টি পাঠাবেন?
১৮. فَسَتَعْلَمُونَ مَا أَخْبَارُكمُ
অর্থ: তাহলে তোমরা জানতে পারবে তোমাদের অবস্থা কেমন।
১৯. وَقَالَ أَلَّذِينَ كَفَرُوا: “أَكَذَّبُوا؟”
অর্থ: এবং যারা কুফর করেছে তারা বলবে: “এটি কি মিথ্যা?”
২০. أَمَّنْ هَـذَا الَّذِي هُوَ جُنْدٌ لَّكُمْ يَنْصُرُكُمْ مِّن دُونِ الرَّحْمَـٰنِ
অর্থ: এই আল্লাহর বাহিনী কি তোমাদেরকে রক্ষা করবে?
২১. إِنِ الْكَافِرِينَ فِي ضَلَالٍ وَسُعُرٍ
অর্থ: নিশ্চয়ই, কাফিররা পথভ্রষ্ট এবং কঠিন শাস্তির মধ্যে।
২২. أَمْ أَمِنْتُمْ مَنْ فِي السَّمَاءِ أَنْ يَسُوقَكُمْ
অর্থ: অথবা কি তোমরা নিরাপদ যে, আসমানে আছেন তিনি তোমাদেরকে চাপিয়ে দেবেন?
২৩. فَسَتَعْلَمُونَ مَا أَخْبَارُكمُ
অর্থ: তাহলে তোমরা জানতে পারবে তোমাদের অবস্থা কেমন।
২৪. أَلَمْ يَرَوْا إِلَىٰ الطَّيْرِ فَوْقَهُمْ
অর্থ: কি তারা পাখিগুলোকে তাদের মাথার উপর দেখেনি?
২৫. يَسْتَخْفِتْهُنَّ إِلَّا الرَّحْمَـٰنِ
অর্থ: তাদেরকে আটকায় না, শুধুমাত্র রাহমান।
২৬. إِنَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ بَصِيرٌ
অর্থ: নিশ্চয় তিনি সবকিছুর উপর নজরদারী করছেন।
২৭. أَمَّنْ هَـذَا الَّذِي يُمْسِكُكُمْ فِي ضَحْكٍ
অর্থ: কি এই আল্লাহ তোমাদেরকে রক্ষা করবেন?
২৮. فَسَتَعْلَمُونَ مَا أَخْبَارُكمُ
অর্থ: তাহলে তোমরা জানতে পারবে তোমাদের অবস্থা কেমন।
২৯. وَكَأَيِّنْ مِنْ قَرْيَةٍ أَهْلَكْنَاهَا
অর্থ: এবং কত জনপদ আমরা ধ্বংস করেছি।
৩০. أَكَانَتْ قَوْمًا خَشَفًَا
অর্থ: কি তাদের জনপদকে আমরা অতিক্রম করেছি?
৩১. وَلَمَّا أَحْرَقُوا بِذَاتِ الْحُقُومِ
অর্থ: যখন তারা একে অপরকে বিতাড়িত করেছে।
৩২. أَكَلَتْ وَخَشْيَةَ الرَّحْمَـٰنِ
অর্থ: এবং রাহমানের প্রতি ভয়।
৩৩. فَالَّذِي أَخَذَ مِنْهُمْ سَكَانَ قَدْ أُحْرِقَ
অর্থ: যে তাদের দ্বারা তাদেরকে ধ্বংস করেছে।
৩৪. قُلْ: “إِنَّمَا أُنذِرُكُمْ”
অর্থ: বলুন: “আমি কেবল তোমাদেরকে সতর্ক করছি।”
৩৫. “أَنَا عَلَىٰ مَلَائِكَةٍ مِنَ الْبَشَرِ”
অর্থ: “আমি একজন মানব ফেরেশতা।”
৩৬. إِنَّمَا أَنْذِرُكُمْ مِمَّا يَسْمَعُونَ
অর্থ: আমি কেবল তোমাদেরকে সতর্ক করছি যা তোমরা শুনতে পাচ্ছ।
৩৭. إِنَّمَا أَعْتَدُ لَكُمْ جَحِيمًا
অর্থ: আমি তোমাদের জন্য জাহান্নাম প্রস্তুত করছি।
৩৮. أَكَانَتْ لَهُمْ مَشَارِقَ
অর্থ: তাদের জন্য কি পার্থক্য ছিল?
৩৯. فَالَّذِينَ كَفَرُوا فِي ضَلَالٍ
অর্থ: যারা কুফর করেছে তারা পথভ্রষ্ট।
৪০. وَمَا كَانُوا مُعَذَّبِينَ
অর্থ: এবং তারা শাস্তি প্রাপ্ত হবে।
৪১. إِنَّهُمْ كَانُوا لَا يُؤْمِنُونَ
অর্থ: তারা বিশ্বাস করে না।
৪২. إِنَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
অর্থ: তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাশালী।
৪৩. وَمَا خَلَقُوا مِن شَيْءٍ
অর্থ: এবং তারা কিছু সৃষ্টি করেনি।
৪৪. فَلَمَّا تَوَارَتِ الشَّمْسُ
অর্থ: সূর্য যখন অস্তমিত হলো।
৪৫. وَقَامَتِ الأَنْفَاسُ
অর্থ: এবং শ্বাস নেয়া হলো।
৪৬. عَلَى خَلَقِ الأَرْضِ
অর্থ: পৃথিবীর সৃষ্টি।
৪৭. إِنَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
অর্থ: তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাশালী।
উপসংহার:
সূরা মুলক কুরআনুল কারিমের একটি অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ সূরা। এই সূরাটি তিলাওয়াত করা মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সূরা মুলকের তিলাওয়াত করার মাধ্যমে আমরা কবরের আযাব থেকে মুক্তি, আল্লাহর ক্ষমা এবং জান্নাত লাভ করতে পারি।
আপনি যদি সূরা মুলক সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে আপনি কোনো আলেম বা ইসলামি গবেষকের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
আপনার জন্য আরো কিছু বিষয় উল্লেখ করা যাক:
- সূরা মুলকের অর্থ ও বিষয়বস্তু: সূরাটির অর্থ বুঝে পড়লে এর তাৎপর্য আরও ভালোভাবে অনুধাবন করা যায়।
- সূরা মুলকের তিলাওয়াতের সময়: সূরাটি যেকোনো সময় তিলাওয়াত করা যায়। তবে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে তিলাওয়াত করলে এর ফজিলত বেশি।
- সূরা মুলকের অন্যান্য নাম: এই সূরাকে মু’মিনুন সূরাও বলা হয়।
- সূরা মুলকের সুন্নত: নবীজি (সাঃ) সূরা মুলক তিলাওয়াতের বিষয়ে কিছু সুন্নত বর্ণনা করেছেন।
আপনি যদি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আরও জানতে চান, Click