ওয়ালটন ল্যাপটপের মূল্য তালিকা - ওয়ালটন ল্যাপটপের দাম
বাংলাদেশে ওয়ালটন ল্যাপটপের সর্বশেষ মূল্য তালিকা ২০২৫। সাশ্রয়ী মূল্যে সেরা ওয়ালটন ল্যাপটপের দাম, স্পেসিফিকেশন ও ফিচার জানুন। স্টুডেন্ট, অফিস ও গেমিং উপযোগী ওয়ালটন ল্যাপটপের বিস্তারিত তথ্য এখানে।
ওয়ালটন ল্যাপটপের মূল্য তালিকা - ওয়ালটন ল্যাপটপের দাম -- ওয়ালটন বাংলাদেশের একটি সুপরিচিত ব্র্যান্ড, যা বিভিন্ন সিরিজের ল্যাপটপ বাজারে নিয়ে এসেছে। তাদের ল্যাপটপ সিরিজগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রিলিউড, প্যাশন, টেমারিন্ড, করোন্ডা, এবং ওয়াক্সজাম্বু। প্রতিটি সিরিজে বিভিন্ন মডেলের ল্যাপটপ পাওয়া যায়, যা ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন চাহিদা পূরণে সক্ষম।
ওয়ালটন ল্যাপটপের মূল্য তালিকা
নিচে ওয়ালটনের কিছু ল্যাপটপ মডেলের তালিকা উল্লেখ করা হলো:
সিরিজ | মডেল | প্রসেসর | র্যাম | স্টোরেজ | ডিসপ্লে | আনুমানিক মূল্য (টাকা) |
---|---|---|---|---|---|---|
প্রিলিউড | Prelude N41 | Intel Celeron N4020 | ৪GB | ২৫৬GB SSD | ১৪ ইঞ্চি HD | ৩৫,০০০ |
প্যাশন | Passion BX710G | Intel Core i7 10th Gen | ৮GB | ৫১২GB SSD | ১৫.৬ ইঞ্চি Full HD | ৫৫,০০০ |
টেমারিন্ড | Tamarind EX310G Pro | Intel Core i3 10th Gen | ৪GB | ১২৮GB SSD | ১৪ ইঞ্চি HD | ১৬,৫০০ |
করোন্ডা | Karonda GX710H | Intel Core i7 11th Gen | ১৬GB | ১TB SSD | ১৫.৬ ইঞ্চি Full HD IPS | ৭০,০০০ |
ওয়াক্সজাম্বু | Waxjambu ZX710G | Intel Core i5 11th Gen | ৮GB | ৫১২GB SSD | ১৫.৬ ইঞ্চি Full HD | ৬০,০০০ |
উপরোক্ত মডেলগুলোর স্পেসিফিকেশন ও মূল্য সময়ের সাথে পরিবর্তিত হতে পারে। সর্বশেষ তথ্যের জন্য ওয়ালটনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা নিকটস্থ ওয়ালটন শোরুম পরিদর্শন করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
ওয়ালটন ল্যাপটপের মূল্য তালিকা - ওয়ালটন ল্যাপটপের দাম
নিচের আর্টিকেলে ২০২৫ সালের সেরা ওয়ালটন ল্যাপটপগুলোর দাম ও ফিচার বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।
মূল্য: ৩৫,০০০ টাকা (প্রায়)
ফিচারসমূহ:
-
প্রসেসর: Intel Celeron N4020
-
র্যাম: ৪GB DDR4
-
স্টোরেজ: ২৫৬GB SSD
-
ডিসপ্লে: ১৪ ইঞ্চি HD
-
ব্যাটারি ব্যাকআপ: ৬ ঘণ্টা
২. Walton Passion BX710G
মূল্য: ৫৫,০০০ টাকা (প্রায়)
ফিচারসমূহ:
-
প্রসেসর: Intel Core i7 10th Gen
-
র্যাম: ৮GB DDR4
-
স্টোরেজ: ৫১২GB SSD
-
ডিসপ্লে: ১৫.৬ ইঞ্চি Full HD
-
ব্যাটারি ব্যাকআপ: ৭ ঘণ্টা
৩. Walton Karonda GX710H
মূল্য: ৭০,০০০ টাকা (প্রায়)
ফিচারসমূহ:
-
প্রসেসর: Intel Core i7 11th Gen
-
র্যাম: ১৬GB DDR4
-
স্টোরেজ: ১TB SSD
-
ডিসপ্লে: ১৫.৬ ইঞ্চি Full HD IPS
-
ব্যাটারি ব্যাকআপ: ৮ ঘণ্টা
৪. Walton Tamarind EX710G
মূল্য: ৬৫,০০০ টাকা (প্রায়)
ফিচারসমূহ:
-
প্রসেসর: Intel Core i5 11th Gen
-
র্যাম: ৮GB DDR4
-
স্টোরেজ: ৫১২GB SSD
-
ডিসপ্লে: ১৫.৬ ইঞ্চি Full HD IPS
-
ব্যাটারি ব্যাকআপ: ৬-৭ ঘণ্টা
৫. Walton Prelude R2
মূল্য: ৪০,০০০ টাকা (প্রায়)
ফিচারসমূহ:
-
প্রসেসর: AMD Ryzen 3 3200U
-
র্যাম: ৪GB DDR4
-
স্টোরেজ: ২৫৬GB SSD
-
ডিসপ্লে: ১৪ ইঞ্চি HD
-
ব্যাটারি ব্যাকআপ: ৫-৬ ঘণ্টা
ওয়ালটন ল্যাপটপ কেন কিনবেন?
১. সাশ্রয়ী মূল্য: অন্যান্য ব্র্যান্ডের তুলনায় ওয়ালটনের ল্যাপটপ বাজেট ফ্রেন্ডলি।
২. ভালো পারফরম্যান্স: কাজ ও গেমিংয়ের জন্য পর্যাপ্ত শক্তিশালী স্পেসিফিকেশন।
৩. গ্যারান্টি ও বিক্রয়োত্তর সেবা: ওয়ালটন দীর্ঘমেয়াদী গ্যারান্টি ও ভালো সার্ভিস অফার করে।
৪. স্টাইলিশ ডিজাইন: আধুনিক এবং হালকা ডিজাইন যা সহজে বহনযোগ্য।
ল্যাপটপ কেনার আগে কি কি দেখে ল্যাপটপ কিনতে হবে
ল্যাপটপ কেনার সময় সঠিক মডেল বেছে নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি দীর্ঘদিন ব্যবহার করতে হয়। আপনার কাজের ধরন অনুযায়ী সেরা ল্যাপটপটি বেছে নিতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করা জরুরি—
১. প্রসেসর (CPU) নির্বাচন করুন
প্রসেসর ল্যাপটপের পারফরম্যান্সের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আপনার চাহিদা অনুযায়ী নিচের অপশনগুলো দেখতে পারেন—
- সাধারণ কাজের জন্য: Intel Core i3 / AMD Ryzen 3
- অফিস ও মাল্টিটাস্কিংয়ের জন্য: Intel Core i5 / AMD Ryzen 5
- গেমিং, ভিডিও এডিটিং বা ভারী কাজের জন্য: Intel Core i7 বা i9 / AMD Ryzen 7 বা 9
✅ প্রস্তাবিত: Intel Core i5 বা AMD Ryzen 5 বাজেটের মধ্যে ভালো পারফরম্যান্স দেয়।
২. র্যাম (RAM) কত দরকার?
র্যাম বেশি হলে ল্যাপটপ দ্রুত কাজ করে এবং একসাথে একাধিক অ্যাপ চালানো সহজ হয়।
- ৪GB RAM: হালকা কাজ (ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ডকুমেন্ট তৈরি)
- ৮GB RAM: অফিস ও শিক্ষার্থীদের জন্য যথেষ্ট
- ১৬GB RAM: গ্রাফিক ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, গেমিং
- ৩২GB+ RAM: হাই-এন্ড গেমিং ও প্রফেশনাল কাজ
✅ প্রস্তাবিত: কমপক্ষে ৮GB RAM রাখার চেষ্টা করুন।
৩. স্টোরেজ: SSD নাকি HDD?
স্টোরেজ ল্যাপটপের গতি নির্ধারণ করে।
- HDD (Hard Disk Drive): সস্তা, তবে ধীরগতির (৫০০GB - ২TB)
- SSD (Solid State Drive): দ্রুত, কিন্তু দাম বেশি (২৫৬GB - ২TB)
✅ প্রস্তাবিত: ২৫৬GB SSD বা তার বেশি রাখুন, এটি ল্যাপটপকে দ্রুততর করে। প্রয়োজনে SSD + HDD কম্বিনেশনও নেওয়া যায়।
৪. ডিসপ্লে সাইজ ও রেজুলেশন
ল্যাপটপের ডিসপ্লে আকার ও রেজুলেশনও গুরুত্বপূর্ণ।
- ১৩-১৪ ইঞ্চি: পোর্টেবল, সহজে বহনযোগ্য
- ১৫.৬ ইঞ্চি: অফিস ও মাল্টিমিডিয়ার জন্য আদর্শ
- ১৭ ইঞ্চি: গেমিং বা ভিডিও এডিটিংয়ের জন্য ভালো
✅ প্রস্তাবিত: ১৫.৬ ইঞ্চি, Full HD (1920×1080) রেজুলেশন রাখুন।
৫. ব্যাটারি ব্যাকআপ কত দরকার?
ভ্রমণ বা অফিসের কাজে ব্যাটারি ব্যাকআপ খুব গুরুত্বপূর্ণ।
- ৩-৪ ঘণ্টা: গেমিং ল্যাপটপ
- ৫-৭ ঘণ্টা: সাধারণ ল্যাপটপ
- ৮-১০+ ঘণ্টা: আল্ট্রাবুক বা উচ্চমানের ব্যাটারি ব্যাকআপ
✅ প্রস্তাবিত: ৬ ঘণ্টার বেশি ব্যাটারি ব্যাকআপ রাখার চেষ্টা করুন।
৬. গ্রাফিক্স কার্ড দরকার কিনা?
- ইন্টিগ্রেটেড গ্রাফিক্স (Intel UHD, AMD Vega): সাধারণ কাজ ও লাইট গেমিং
- ডেডিকেটেড GPU (NVIDIA/AMD Radeon): গেমিং, ভিডিও এডিটিং, গ্রাফিক ডিজাইনের জন্য
✅ প্রস্তাবিত: অফিস ও সাধারণ ব্যবহারের জন্য ইন্টিগ্রেটেড গ্রাফিক্স যথেষ্ট, তবে গেমিং বা ভিডিও এডিটিংয়ের জন্য ডেডিকেটেড GPU দরকার।
৭. ওজন ও ডিজাইন
আপনার যদি ল্যাপটপ বহন করতে হয়, তাহলে হালকা ও পাতলা ল্যাপটপ নিন।
- ১-১.৫ কেজি: সহজে বহনযোগ্য
- ১.৫-২ কেজি: মাঝারি ওজন
- ২ কেজির বেশি: ভারী ও শক্তিশালী পারফরম্যান্স
✅ প্রস্তাবিত: ১.৫-২ কেজি ওজনের ল্যাপটপ ব্যালেন্সড অপশন।
৮. অপারেটিং সিস্টেম (OS)
- Windows: সর্বাধিক ব্যবহৃত, অফিস ও গেমিংয়ের জন্য ভালো
- MacOS: Apple ডিভাইসের জন্য, নিরাপত্তা ভালো
- Chrome OS: হালকা কাজ ও শিক্ষার্থীদের জন্য
- Linux: প্রোগ্রামার ও ডেভেলপারদের জন্য
✅ প্রস্তাবিত: Windows ১১ বা MacOS সেরা অপশন।
৯. পোর্ট ও কানেক্টিভিটি
আপনার প্রয়োজনীয় পোর্ট থাকছে কিনা নিশ্চিত করুন—
✔️ USB Type-C – দ্রুত ডেটা ট্রান্সফার
✔️ USB 3.0/3.1 – ফাস্ট ইউএসবি ডিভাইস সংযোগ
✔️ HDMI – মনিটর/প্রজেক্টর সংযোগের জন্য
✔️ Wi-Fi 6 & Bluetooth 5.0 – দ্রুত ইন্টারনেট ও ডিভাইস সংযোগ
✅ প্রস্তাবিত: কমপক্ষে ২টি USB 3.0 পোর্ট, ১টি HDMI, এবং Type-C পোর্ট রাখা ভালো।
১০. ব্র্যান্ড ও ওয়ারেন্টি
বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড থেকে ল্যাপটপ কিনলে পরবর্তী সময়ে সার্ভিস ভালো পাওয়া যায়।
???? বেস্ট ব্র্যান্ড: Dell, HP, Asus, Lenovo, Acer, Apple, Walton ইত্যাদি।
???? ওয়ারেন্টি: কমপক্ষে ১-৩ বছরের ওয়ারেন্টি থাকা ভালো।
✅ প্রস্তাবিত: ওয়ারেন্টি ও কাস্টমার সার্ভিস ভালো এমন ব্র্যান্ড বেছে নিন।
সেরা ল্যাপটপ কেনার জন্য সংক্ষেপে চেকলিস্ট
✅ প্রসেসর: Intel Core i5 বা AMD Ryzen 5
✅ র্যাম: ৮GB বা তার বেশি
✅ স্টোরেজ: ২৫৬GB SSD বা তার বেশি
✅ ডিসপ্লে: ১৫.৬” Full HD (IPS)
✅ ব্যাটারি: ৬ ঘণ্টার বেশি ব্যাকআপ
✅ গ্রাফিক্স: অফিসের জন্য ইন্টিগ্রেটেড, গেমিংয়ের জন্য NVIDIA GPU
✅ ওজন: ১.৫-২ কেজি
✅ পোর্ট: USB Type-C, HDMI, USB 3.0
ল্যাপটপের বিভিন্ন ক্যাটাগরি
১. আল্ট্রাবুক (Ultrabook):
- হালকা ও পাতলা ডিজাইন
- দীর্ঘ ব্যাটারি লাইফ
- উচ্চ কার্যক্ষমতা সম্পন্ন প্রসেসর
২. গেমিং ল্যাপটপ:
- উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন GPU (Graphics Processing Unit)
- শক্তিশালী কুলিং সিস্টেম
- উন্নত রিফ্রেশ রেটযুক্ত ডিসপ্লে
৩. বিজনেস ল্যাপটপ:
- নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী (ফিঙ্গারপ্রিন্ট, TPM চিপ ইত্যাদি)
- শক্তিশালী ব্যাটারি ব্যাকআপ
- পোর্টেবল ও টেকসই ডিজাইন
৪. ২-ইন-১ ল্যাপটপ (Convertible Laptop):
- ট্যাবলেট ও ল্যাপটপ হিসেবে ব্যবহার করা যায়
- টাচস্ক্রিন সুবিধা যুক্ত
- হালকা ও সহজে বহনযোগ্য
ল্যাপটপ কেনার আগে বিবেচ্য বিষয়
১. প্রসেসর (CPU)
প্রসেসর ল্যাপটপের কর্মক্ষমতা নির্ধারণ করে। Intel Core i5/i7, AMD Ryzen 5/7 ইত্যাদি উচ্চমানের পারফরম্যান্সের জন্য ভালো।
২. র্যাম (RAM)
সাধারণ ব্যবহারের জন্য ৮GB RAM যথেষ্ট, তবে মাল্টিটাস্কিং বা হাই-এন্ড কাজের জন্য ১৬GB বা তার বেশি ভালো হবে।
৩. স্টোরেজ
SSD (Solid State Drive) হার্ড ড্রাইভের (HDD) তুলনায় দ্রুততর এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৪. ডিসপ্লে
Full HD (1920x1080) বা তার বেশি রেজুলেশনের ডিসপ্লে ভালো ভিজ্যুয়াল এক্সপেরিয়েন্স দেয়।
৫. ব্যাটারি
দীর্ঘ ব্যাটারি ব্যাকআপের জন্য অন্তত ৬-৮ ঘণ্টার ব্যাটারি লাইফ যুক্ত ল্যাপটপ বেছে নেওয়া ভালো।
৬. গ্রাফিক্স কার্ড (GPU)
গেমিং, ভিডিও এডিটিং বা গ্রাফিক ডিজাইনের জন্য NVIDIA বা AMD-এর ডেডিকেটেড GPU দরকার হয়।
আরো পড়ুন: ১৫ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মোবাইল ২০২৫ - ৫০ টি সেরা মোবাইল ফোনের তালিকা
ওয়ালটন ল্যাপটপের মূল্য তালিকা - ওয়ালটন ল্যাপটপের দাম - ওয়ালটন ল্যাপটপগুলো বাংলাদেশি ব্যবহারকারীদের জন্য অন্যতম সেরা বিকল্প। আপনার চাহিদা অনুযায়ী সেরা মডেলটি বেছে নিতে পারেন। সর্বশেষ দাম ও অফার জানতে আপনার নিকটস্থ ওয়ালটন শোরুম বা অনলাইন স্টোর পরিদর্শন করুন।